করোনার কোনো প্রতিষেধক এখনো আবিষ্কার হয়নি, নেই কোনো ঔষধ৷ তবে, নানা সতর্কতামূলক উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে করোনামুক্ত থাকা সম্ভব৷ পাশাপাশি, ভিটামিন সি হতে পারে সহায়ক৷

মানবদেহ এমনভাবে তৈরি যাতে সেটি নানা রোগবালাইয়ের বিরুদ্ধে লড়তে পারে৷ পৃথিবীতে মানুষের আবির্ভাবের পর থেকেই মানবদেহ এই কাজটা করে আসছে৷ মানুষের শরীরের এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যার যত বেশি তিনি তত নিরাপদ৷
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর উপায় কী?
করোনা ভাইরাসের পাদুর্ভাবের পর থেকেই এই ভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকার নানা উপায়ের কথা বলছেন গবেষকরা৷ সেই উপায়গুলোর মধ্যে রয়েছে, নিয়মিত সাবান দিয়ে হাত ধোয়া বা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত জীবানমুক্ত করা, সামাজিক দূরত্ব মানে অন্য একজন মানুষের কাছ থেকে অন্তত দেড় থেকে দুই মিটার দূরে থাকা আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেটা এখন বিবেচনা করা হচ্ছে, তাহচ্ছে মাস্ক পরা৷
এসবের পাশাপাশি গবেষকরা বলছেন, সম্ভব হলে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি খেতে৷ কেননা ভিটামিন সি আপনার শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়৷ আর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যার যত ভালো, তারপক্ষে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করা ততটাই সহজ৷
ভিটামিন সি কোন কোন খাবারে পাওয়া যাবে?
লেবু, কমলা এবং মাল্টার জ্যুসে প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে৷ আনারসও ভিটামিন সিতে ভরপুর৷ তবে, শুধু কমলা আর আনারসই নয়, হাতের কাছে আরো অনেক ফল, সবজি রয়েছে যেগুলোতে ভিটামিন সি সহজেই পাওয়া যায়৷ যেমন: পেঁয়ারা, টমেটোর জ্যুস, স্ট্রবেরি, পেপে, আলু, আম, লেবু, ফুলকপিতে প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে৷
আরো অনেক সবজিতে ভিটামিন সি থাকে, তবে খেয়াল রাখবেন বেশি রান্না করা হলে সবজিতে থাকা ভিটামিন সির পরিমান কমে যায়৷ তাই সম্ভব হলে শুধু সেদ্ধ করে সবজি খাবেন৷
ভিটামিন সি য়ের পাশাপাশি অন্য কোন ভিটামিন লাগবে না?
শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ও ফিট থাকতে ভিটামিন সিয়ের পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়ামও করা যেতে পারে৷ অনেক ব্যায়াম আছে যা ঘরে বসেই করা সম্ভব৷ প্রতিদিন কিংবা একদিন অন্তর আধাঘণ্টা ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ বেশ সহায়ক৷
আরেকটি বিষয় এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন৷ সেটি হচ্ছে ভিটামিন ডি৷ করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকতে অনেকেই এখন গৃহবন্দি জীবন বেছে নিয়েছেন৷ ফলে পর্যাপ্ত সূর্যের আলো না পাওয়ায় অনেকের শরীরে ভিটামিন ডিয়ের ঘাটতি তৈরি হতে পারে৷ এই ঘাটতি হাড়, দাঁত এবং পেশীর জন্য ক্ষতিকর৷ তাই পরিমিত মাত্রায় ভিটামিন ডিও খাওয়া যেতে পারে৷ মাছ, ডিম, দইয়ের মতো খাবারে ভিটামিন ডি রয়েছে৷
করোনারোধে মাস্কের ব্যবহার কি বাড়ছে?
জার্মানিতে ব্যাপক আকারে মাস্কের ব্যবহার বাড়ানো হয়েছে৷ অফিস, আদালতে, গণপরিবহনে, শপিং মলে, সুপারমার্কেটে এমনকি জিমেও এখন মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক৷ কার্যত জনসমাগম আছে এমন যেকোনো জায়গাতেই মাস্ক পরে চলাফেরা করতে হয় এখন৷ অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, জার্মানি করোনাসংক্রান্ত বিভিন্ন বিধিনিষেধ তুলে দিচ্ছে অনেকটা মাস্কের উপরে ভিত্তি করে৷
করোনা ভাইরাস নিয়ে আপনার কি কোনো প্রশ্ন আছে? লিখুন নীচের মন্তব্যের ঘরে৷
Leave a Reply