উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মত বাংলাদেশেও গত বছর চালু হয়েছে ৯৯৯ হেল্পলাইন। একাদশ জাতীয় নির্বাচন চলাকালীন যেকোনো সমস্যার কথা জানাতে পারবেন এই নম্বরে ফোন করে।

জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চলাকালীন প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন। পাশাপাশি অনলাইনে গুজব প্রতিরোধে কাজ করবে বিভিন্ন বাহিনীর সাইবার টিম। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের আট সদস্যবিশিষ্ট একটি বিশেষ দলও গুজব প্রতিরোধে কাজ করে যাচ্ছে।
গত বুধবার পুলিশ সদর দপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ পুলিশ এই নির্বাচনকে ঘিরে যেকোনো গুজব প্রতিরোধে একটি বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। যার অংশ হিসেবে গত বছর চালু হওয়া হওয়া ন্যাশনাল হেল্পলাইন “৯৯৯” নির্বাচনকালীন সময়ে চালু থাকবে। যেকোনোপ্রকারের সমস্যায় উক্ত নম্বরে ফোন করার পাশাপাশি গুজব প্রতিরোধে বিভিন্ন তথ্য প্রদান করার আহ্বান জানানো হয়েছে সাধারণ জনগণের উদ্দেশ্যে।
দেশের ভেতর যেকোনো সক্রিয় সংযোগ ব্যবহার করে ফোন করা যাবে “৯৯৯” নম্বরে। এজন্য ব্যবহারকারীর বাড়তি কোনো পয়সা কাটা হবে না। জরুরী এই নম্বরে ডায়াল করলে পাওয়া যাবে অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশি সেবা। নির্বাচনকে ঘিরে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া কোনো সংবাদের সত্যতা যাচাইয়ের জন্যেও ৯৯৯ নম্বরে ফোন করতে পারবেন দেশের জনগণ। পাশাপাশি মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করেও হেল্প লাইনের সাথে যোগাযোগ করা যাবে।
নির্বাচনের সময় স্বভাবতই প্রচুর মিথ্যা খবর ছড়িয়ে পড়ার একটি সম্ভাবনা থেকে যায়। সেজন্য ভেরিফাইড প্রেসের পাঠকদের প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে অনলাইনে কোনোকিছু শেয়ার করার আগে একটু বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করার। পুরোপুরি নিশ্চিত না হয়ে কোনোকিছু শেয়ার করবেন না। যেকোনো ভুয়া সংবাদের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য আমাদের ফেসবুক পাতায় মেসেজ করলে আমরা সেটা যাচাই-বাছাই করে আপনাদেরকে সত্যটা জানানোর চেষ্টা করবো।
ফিচার ছবি: ৯৯৯ জরুরী সেবা
[[লেখা সম্পর্কিত আপনার যেকোনো মতামত আমাদের সাথে শেয়ার করতে পারেন নিচের মন্তব্য বক্সে বা ভেরিফাইড প্রেসের ফেসবুক পাতায়।]]
Leave a Reply