আমাদের প্রায়ই এমন কিছু অসুখ হয়ে থাকে যেগুলোর জন্যে বারবার ডাক্তারের কাছে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন পড়ে না। প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে ঘরে বানানো বিভিন্ন ঔষুধ দিয়ে খুব সহজেই এই অসুখগুলোকে সারিয়ে তোলা যায়।

গতানুগতিক কিছু রোগের প্রাকৃতিক প্রতিকার সম্পর্কিত প্রথম পর্বের পর দ্বিতীয় পর্বে চলুন জেনে নেই সাধারণ আরো ছয়টি রোগের প্রাকৃতিক প্রতিকার।
১. বদহজম, পেটব্যথা এবং বুক জ্বালাপোড়া:
#ক্যামোমিলের চা আপনার পাকস্থলীকে শিথিল করে এবং আরাম দেয়।
#মুরগির মাংশের স্যুপ বিপর্যস্ত পাকস্থলীকে শান্ত করে। শুধুমাত্র স্যুপ থেকে চর্বিযুক্ত পদার্থগুলো সরিয়ে ফেলে তাতে কিছুটা লেবু দিয়ে খেয়ে ফেলুন।
#ব্যথাযুক্ত স্থানে গরম শেক দিন।
#দারুচিনি, পুদিনা এবং মৌরির প্রতিটি উপাদান এক টেবিল চামচ করে নিয়ে তা আধা লিটার পানিতে ১০ মিনিট সেদ্ধ করুন। এরপর ঠাণ্ডা হলে আধা ঘন্টা পর পর এক কাপ করে পান করুন। কিছুক্ষনের মধ্যেই আপনি পুরোপুরি ঠিক হয়ে যাবেন।
#এক চা-চামচ বেকিং সোডা ও কিছু লেবুর রস আধা গ্লাস পানিতে মিশিয়ে খেয়ে নিন। এটি প্রাকৃতিক অ্যান্টাসিড হিসেবে কাজ করে খুব দ্রুত বুক জ্বালাপোড়া বন্ধ করবে।
২. ঠাণ্ডা, কাশি ও সর্দি
#প্রতিদিন সকালের নাস্তার সাথে কমলার জুস পান করলে ঠাণ্ডা লাগা ও সর্দি হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যায়।
#ইউক্যালিপটাস একটি এন্টিসেপটিক ও এন্টিভাইরাস হিসেবে কাজ করে। এটি কাশি কমায়। এমনকি ব্রংকাইটিসেও উপকার করে।
#দুই কাপ লেবুর রস সাত টেবিল চামচ মধুর সাথে মেশান। এরপর মিশ্রণটিকে দেড় ঘন্টা ফোটান। এবার ঠাণ্ডা হলেই লেবু ও মধুর সিরাপ তৈরি হয়ে যাবে। এই সিরাপ প্রথম দিন দুই চামচ করে এক ঘন্টা পর পর এবং দ্বিতীয় দিন থেকে এক চামচ করে তিন ঘন্টা পর পর সেবন করুন। #সর্দি কাশিতে গরম স্যুপ খুবই উপকারী। এটি গলা ব্যথা কমায় এবং একইসাথে ঠাণ্ডা ও কাশি উপশম করে।
৩. ব্রণ
#এক বোতল পানিতে গোলাপের ১০ টি পাপড়ি রেখে তা ৩৬ ঘন্টার জন্যে ফ্রিজে রেখে দিন। এতে কিছু এলকোহল মিশিয়ে প্রতিদিন গোসলের পর একবার ও ঘুমানোর আগে একবার মুখে ব্যবহার করুন।
#একটি লেবুকে কাঁটাচামচ দিয়ে কয়েক জায়গায় ফোঁড়ন কেটে তা পানিতে দিয়ে ৩-৫ মিনিট ফোটান। এবার দিনে দুইবার করে এই চা পান করলে তা আপনার ত্বককে জীবাণুমুক্ত করবে।
#মধু ও দারুচিনির গুঁড়ো একত্রে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এটি আক্রান্ত স্থানে ১০ মিনিট লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন।
#কিছুটা আপেল সিডার ভিনেগার পানিতে মিশিয়ে তা আপনার পরিষ্কার ত্বকে নরম তুলা দিয়ে প্রয়োগ করুন। এটি আপনার ত্বকের স্বাভাবিক অম্লত্ব ফিরিয়ে আনবে এবং ত্বক থেকে মৃত কোষ দূর করবে।
৪. চুল পরা
#সদ্য থেঁতলানো রসুন ও পেয়াজের জুস সরাসরি মাথায় প্রয়োগ করুন। ২০ মিনিট পর মাথায় লেবুর রস দিয়ে আলতোভাবে মাথা ধুয়ে ফেলুন। লেবুর রস চুলে দুর্গন্ধ হওয়া রোধ করবে।
#গাঁজরের জুস ও নারিকেলের দুধ একত্রে মিশিয়ে চুলে লাগান। এটি আপনার চুলকে মজবুত ও সুস্থ করবে।
#আপেল সিডার ভিনেগার চুল পরা রোধে খুবই উপকারী। বিশেষ করে তৈলাক্ত চুলের ক্ষেত্রে। এটি চুলের গোড়ায় রক্তপ্রবাহের পরিমাণ বাড়ায়। পানিতে কিছুটা ভিনেগার মিশিয়ে মাথায় ম্যাসাজ করুন এবং ১০ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন।
#অ্যালোভেরা জেল চুলে দিয়ে মাথা ম্যাসাজ করুন। ১০ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন।
৫. উচ্চ রক্তচাপ
#ছবিতে দেখানো পয়েন্ট এক ও দুইয়ের মাঝখানে ধীরে ধীরে হাত বোলান
৬. লিভার ও কিডনির সমস্যা
#হাটুতে ভর করে হাটাকে চীনা চিকিৎসাবিদ্যা মোটামুটি সব রোগের জন্যেই একটি কার্যকরী চিকিৎসা বলে মনে করে থাকে। কিডনি ও লিভারের জন্যেও এটি উত্তম। আপনাকে শুধুমাত্র নরম কোনো বিছানা বা কার্পেটে হাটুতে ভর করে সোজা হয়ে প্রতিদিন কমপক্ষে ১৫ মিনিট হাটতে হবে।
ফিচার ছবি: ফ্লিকার
[[লেখা সম্পর্কিত আপনার যেকোনো মতামত আমাদের সাথে শেয়ার করতে পারেন নিচের মন্তব্য বক্সে বা ভেরিফাইড প্রেসের ফেসবুক পাতায়।]]
Leave a Reply