দিনে দিনে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বাড়ছে অসহনীয় হারে। আর সাথে সাথে বাড়ছে টেবিল ফ্যানের ব্যবহার। কিন্তু আসলে কতটা স্বাস্থ্যসম্মত এসব ফ্যান?

মূলত গ্রিন হাউজ গ্যাসের বৃদ্ধির কারণেই তাপমাত্রাও বৃদ্ধি পায়। অসহনীয় গরমে মানুষজন অতিষ্ট হয়ে যায়; তাই আদিকাল থেকেই গরমকে প্রতিহত করতে প্রাকৃতিক বাতাসের পাশাপাশি হাত পাখা ব্যবহার করা হতো। প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে গরমকে প্রতিহত করতে আবিষ্কার হয় এয়ার কন্ডিশনার, এয়ার কুলার, সিলিং ফ্যানের মতো প্রযুক্তির। এয়্যার কন্ডিশনার ব্যপক ব্যয়বহুল হওয়ায় সাধারন মানুষ সিলিং ফ্যান কিংবা স্টয়ান্ড ফ্যানকেই বেছে নেন। তবে সাময়িক গরম থেকে মুক্তি দিতে পারা এই প্রযুক্তিটি আপনার বড় ধরনের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
যে কারনে ফ্যান আপনার ক্ষতি করতে পারে…
ঘুমানোর সময় ফ্যান ছেড়ে ঘুমানোটা খুব একটা স্বাস্থ্যসম্মত নয়। ফ্যান ছেড়ে ঘুমালে অনেকেরই সকালে কাশি কিংবা ঘাড় ব্যথা শুরু হয়। এর পেছনে মূলত দায়ী হতে পারে আপনার গরম থেকে মুক্তি দেওয়া স্ট্যান্ড ফ্যানটি।
ফ্যান ছেড়ে ঘুমালে ঘুম ভাল হয় এবং ঘরের বাতাস চলাচল সঠিকভাবে হয় বলে এটি স্বাস্থ্যের জন্যে ভাল। তবে ঘুমানোর সময় শরীরের বেশি কাছে ফ্যান নিয়ে ঘুমালে নাক মুখ শুকিয়ে যেতে পারে। ফ্যানের মধ্যে ধুলাবালি থাকলে সেটা সারা ঘর উড়তে থাকবে। ফলে যাদের ডাস্ট এলার্জি বা এজমা আছে তারা অসুস্থ্য হতে পারেন খুব সহজেই।
অসহনীয় গরমে ফ্যান ছাড়া কোন উপায় থাকে না, সেরকম অবস্থা হলে আপনার স্ট্যান্ড ফ্যানটি নিরাপদ দূরত্বে রাখুন। ফ্যানের বাতাস সরাসরি শরীরে না লাগানোই ভাল। আর যাদের ডাস্ট আলার্জি রয়েছে তারা ছোট এয়ার ফিল্টার ঘরের ভেতর এনে রাখতে পারেন।
যাদের ঠান্ডার সমস্যা রয়েছে তাদের জন্যে সারা রাত ফ্যান ছেড়ে রেখে ঘুমানোটা খুব একটা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। আবহাওয়া অনেক উষ্ণ থাকলে কিংবা তাপমাত্রা মাত্রাতিরিক্ত হলেও অনেকের সারারাত ফ্যান ছেড়ে রাখার ফলে ঠান্ডা লেগে যায়। এরকম অবস্থায় কিছু সময় পর পর ফ্যান ছেড়ে ছেড়ে ঘুমাতে পারেন। সারারাত ফ্যানের বাতাসে অনেক সময় পেশি সংকুচিত হয়। ফলে ঘাড় সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যথা দেখা দেয়। এজন্যে শরীরের খুব কাছে বেশিক্ষণ ফ্যান ছেড়ে না রাখাই ভালো।
লেখা: কানিজ ফাতেমা
সম্পাদনা: মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম
[[লেখা সম্পর্কিত আপনার যেকোনো মতামত আমাদের সাথে শেয়ার করতে পারেন নিচের মন্তব্য বক্সে বা ভেরিফাইড প্রেসের ফেসবুক পাতায়।]]
Leave a Reply