সন্ধ্যায় ফার্মগেট থেকে মিরপুরে ফেরার সময় নিউ ভিশন বাসে হয়রানির শিকার হয়েছেন এক নারী যাত্রী। নিজের এই বাজে অভিজ্ঞতার কথা লিখেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে।

সময়: সন্ধ্যা সাতটা থেকে সাড়ে সাতটা।
ফার্মগেট থেকে টিউশনি শেষ করে বাসায় ফিরছিলাম। ফার্মগেটের সেজান পয়েন্টের সামনে থেকে নিউ ভিশন বাস দেখে হাত তুললাম। বাস থামালো। বাসের সামনের হেডলাইটের জন্যে বাহির থেকে সামনে বসে থাকা লোকগুলোকে দেখে মনে হয়েছিল বাস ভর্তি আছে। বাসে উঠে দেখলাম পিছনে পুরো ফাঁকা। অনেকটা ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। তাও সিটে বসলাম এটা ভেবে যে সামনে লোকগুলোতো অন্তত আছে।
আমি বসার পরেই সামনে বসে থাকা লোকগুলো ড্রাইভারের সাথে কথা বলা শুরু করলো। এক পর্যায়ে বললো, “বাস আসাদগেট দিয়া না লইয়া সংসদের রাস্তা দিয়া ঘুরা।” আমি সাথে সাথে দাঁড়িয়ে বললাম যে বাস ঐদিকে গেলে আমাকে যাতে মোড়ে নামিয়ে দেয়। বাসের কন্ডাক্টর গেটে হাত রেখে কিছুটা বাঁকা হয়ে দাঁড়ায় ছিল। সে বললো, “আরে! আপা ভয় পাইতাছে।” এই কথা শুনে বাসের সবাই হাসছিল।
ছবি: প্রিয়াংকা বিশ্বাস প্রিয়ার ফেসবুক পোস্ট।
এর মধ্যেই বাস খামারবাড়ির মোড় ঘুরে সংসদের পাশের রাস্তায়। আমি চিৎকার করে বললাম, “বাস থামান, নাহলে আমি পুলিশে কমপ্লেইন করব।” এটা বলায় ড্রাইভার বললো, “গেট লাগায়া দে।” কন্ডাক্টর যখন গেট আটকাতে যাচ্ছে তখন আমি আর কোন চিন্তা না করে তাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে বাস থেকে লাফ দিলাম!
ব্যাথা পেয়েছি হাতে। কিন্তু পাশেই কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে দেখে তাদের গিয়ে বললাম, “আপনারা নেক্সট সিগনালে খবর দেন। যাতে বাসটা ধরে।” ওনারা আমাকে সাহায্য করার থেকে বরং বাইক আটকে টাকা খাওয়াটাকেই বেশি জরুরি বলে মনে করেছিলো। কথাই শুনে নাই আমার!
হয়ত কালকের পেপারে আমার নাম থাকত। অথবা গুম হয়ে যেতাম।
আমাদের দেশের পুলিশেরা উন্নতি করছে।
জাতির পিতার সোনার বাংলা। শুভ জন্মদিন!
লেখা: প্রিয়াংকা বিশ্বাস প্রিয়ার ফেসবুক থেকে
ফিচার ছবি: গুগল স্ট্রিট ভিউ
[[লেখা সম্পর্কিত আপনার যেকোনো মতামত বা আপনার নিজের যেকোনো অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করতে পারেন নিচের মন্তব্য বক্সে বা ভেরিফাইড প্রেসের ফেসবুক পাতায়।]]
Leave a Reply