সুন্দরবনের কাছে রামপালে কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে সরকারের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বিতর্কিত এই প্রকল্পের পক্ষে বিভিন্ন তথ্যউপাত্ত প্রদর্শন করে প্রকল্পটি এগিয়ে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এসময় তিনি যারা এই প্রকল্পের সমালোচনা করছেন তাদের প্রকৃত উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।

শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনটি ফেসবুকে সরাসরি লাইভ সম্প্রচার করা হয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকের ফেসবুক পাতা থেকে।
ভারতের সহায়তায় তৈরি রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া শনিবারের বক্তব্যে তথ্যগত ভুল ছিল বলে দাবি করেছেন কয়েকজন। এদেরই একজন কল্লোল মুস্তফা এক ফেসবুক পোস্টে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের কোথায় কোথায় কারিগরি তথ্যে ভুল ছিল তা তুলে ধরেছেন।
রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি হলে তা সুন্দরবনের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হবে মনে করা অ্যাক্টিভিস্টদের মধ্যে অন্যতম আনু মুহাম্মদ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনের পরপরই তিনি তাদের সংগঠন তেল গ্যাস খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির পক্ষে নীচের বক্তব্যটি জানিয়েছেন।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের শেষের দিকে সাংবাদিকদের প্রশ্ন করার সুযোগ দেয়া হলে কয়েকজন সিনিয়র সাংবাদিক প্রশ্ন করার বদলে প্রধানমন্ত্রীকে “তোষামোদ” করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে ফেসবুকে। অনেকে সাংবাদিকদের এই আচরণকে “চাটুকারিতা” আখ্যা দিয়ে বিষয়টির নিন্দা জানিয়েছেন। ব্লগার রাসেল পারভেজ এই বিষয়ে লিখেছেন:
সিনিয়র সাংবাদিকদের এই আচরণে হতাশ হয়েছেন সাংবাদিতার অধ্যাপক গীতিআরা নাসরিন। তিনি লিখেছেন, ‘‘এই সাংবাদিকতা ক্লাসে শেখানো সম্ভভ নয়! আজকের সংবাদ-সম্মেলনের ভিডিও নথি প্রত্যেক সাংবাদিকতা বিভাগে সংরক্ষণ করা হোক।” পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেয়ার হুমকির জবাব দিয়েছেন এভাবে:
প্রসঙ্গত, রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিপক্ষে চলমান আন্দোলনের সঙ্গে সম্প্রতি নিজেদের সমর্থন জানিয়েছে বিএনপি। কেউ কেউ মনে করছেন, বিএনপির এই সমর্থনের কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষুব্ধ হয়ে প্রকল্পকে আরো দ্রুত এগিয়ে নিতে চাচ্ছেন। সাংবাদিক প্রভাষ আমিন সেদিকে ইঙ্গিত করে ফেসবুকে লিখেছেন:
আপনি কি রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র এগিয়ে নিয়ে যাওয়া পক্ষে? মতামত জানান নীচের মন্তব্যের ঘরে।
Leave a Reply