তরুণদের সাথে উন্নয়ন পরিকল্পনায় এগিয়ে যেতে চাইছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে ১০ টি নির্বাচনের মধ্যে আটটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে চারবার জয় পেয়েছে দলটি এবং মহাজোটের সাথে জোট গড়ে জয় পেয়েছে দুবার।

স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে মোট ১০ টি নির্বাচনের মধ্যে আটটি নির্বাচনে অংশ নেয় আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে ২০০৮ ও ২০১৪ সালে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে অংশ নেয় আওয়ামী লীগ। এবার মহাজোটের ১৪টি দলের সাথে যোগ দিয়েছে যুক্তফ্রন্ট। এছাড়াও জাতীয় পার্টি তো আছেই৷
২০০৮ সালে জাতীয় পার্টিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিলো মহাজোট সরকার। তবে সম্প্রতি যুক্তফ্রন্ট যোগ দেয়াতে মহাজোট এখন আর বলা হচ্ছে না। বলা হচ্ছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট। প্রবীণ এই দলের এবারের নির্বাচনী ইশতেহারের বাস্তবায়ন কাল ধরা হয়েছে ২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল অবধি।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটের এবারের নির্বাচনী ইশতেহারের গুরুত্বপূর্ণ কিছু অংশ ভেরিফাইড প্রেসের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো…
১. ২০২০ সালের মধ্যে সবার জন্য বিদ্যুৎ নিশ্চিত করা হবে
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের দাবি, দেশে বর্তমানে ২০,৩৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ যদি চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় আসে তবে এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে। ২০২০ সালের মধ্যে সবার জন্য বিদ্যুৎ নিশ্চিত করবে আওয়ামী লীগ।
২. ২০২৩ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে ২৮ হাজার মেগাওয়াট
২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে ২৮ হাজার মেগাওয়াট। দেশে বর্তমানে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সংখ্যা ১২৭ টি ২০০৯ সালে যেখানে ছিলো ২৭ টি। আওয়ামী লীগের তৃতীয় মেয়াদে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ছিলো ১১,৬২৩ মেগাওয়াট। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট আবারও ক্ষমতায় আসলে এ সংখ্যা বাড়বে এবং ২০২৩ সালের মধ্যে ২৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে বলে বলা হচ্ছে ইশতেহারে।
৩. ২০২৩ সালের মধ্যে ২৩ হাজার ঘনফুট এলএনজি আমদানি করা হবে
২০২৩ সালের মধ্যে ২৩ হাজার ঘনফুট এলএনজি আমদানি করা হবে। বর্তমানে একটি ভাসমান এবং দুটি স্থায়ী এলএনজি নির্মিত হয়েছে।
৪. সার্বজনীন মানবাধিকার নিশ্চিত করার পাশাপাশি মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিহত করা হবে
জনগণের সব ধরণের মৌলিক অধিকার ও চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিহত করতে কাজ করবে আওয়ামী লীগ।
৫. পদ্মা সেতুর দুই পাড়ে আধুনিক শিল্পনগরী গড়ে তোলা হবে
পদ্মা সেতুকে ঘিরে এই সরকারের দীর্ঘমেয়াদী বিভিন্ন পরিকল্পনা আছে। ইশতেহারে বলা হয়েছে যে, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট আবার ক্ষমতায় এলে পদ্মা সেতুর দুই পাড়ে আধুনিক শিল্পনগরী গড়ে তোলা হবে।
৬. নারী-পুরুষ শ্রমিকদের বেতন বৈষম্য দূর করা হবে
বর্তমানে পুরুষের তুলনায় নারীদের বেতন সব জায়গায়ই কম। নারী ও পুরুষের মাঝে সমতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বেতনের এই বৈষম্য দূর করা হবে।
৭. প্রত্যেক জেলায় যুব উন্নয়ন কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে
নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী, প্রতিটা জেলায় যুব উন্নয়ন কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে।
৮. সকল বিভাগীয় শহরে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করা হবে
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সকল বিভাগীয় শহরে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে।
৯. ঢাকা ও বিভাগীয় শহরের মধ্যে বুলেট ট্রেন চালু করা হবে
আবারও নির্বাচিত হলে ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরের অনেক জায়গায় বুলেট ট্রেন চালু করবে আওয়ামী লীগ। বুলেট ট্রেন চালু হলে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াত সহজলভ্য হবে বলে মনে করছে দলটি।
১০. ২০২৩ সালের মধ্যে ফাইভ-জি সেবা চালু করা হবে
আবারও ক্ষমতায় এলে সালের মধ্যে ফাইভ-জি সেবা চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
১১. প্রতিবন্ধী ও প্রবীণদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে
পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী তথা প্রতিবন্ধী ও প্রবীণদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করাকে গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছে আওয়ামী লীগ।
১২. কোরআন ও সুন্নাহবিরোধী কোন পদক্ষেপ নেয়া হবে না
বিভিন্ন সাম্প্রদায়িক উত্থান ঠেকাতে কোরআন ও সুন্নাহ অনুযায়ী চলবে দেশ। কোরআন ও সুন্নাহবিরোধী কোনো পদক্ষেপ নেয়া হবে না।
১৩. সমুদ্র সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ব্লু ইকোনমি একটি বড় সেক্টর। সমুদ্রে থাকা সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে।
১৪. নতুন একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণ করা হবে
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসলে তারা নতুন একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণের প্রতিশ্রুতি প্রদান করেছে নির্বাচনী ইশতেহারে।
১৫. জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন করা হবে
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার স্বার্থে জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠনের কথা ভাবছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট।
১৬. সামাজিক মাধ্যমে গুজব প্রতিহত করা হবে
“গুজব প্রতিরোধ সেল” নামে একটি সেল গুজব প্রতিরোধে কাজ ইতঃপূর্বে করছে। সরকার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব প্রতিহত করার কার্যক্রমটি চালিয়ে যাবে।
১৭. সশস্ত্র বাহিনীকে সকল বিতর্কের উর্ধ্বে রাখার নীতি অব্যাহত থাকবে
সশস্ত্র বাহিনীকে সকল বিতর্কের উর্ধ্বে রাখার নীতি অব্যাহত রাখার জন্য সচেষ্ট আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট।
[[লেখা সম্পর্কিত আপনার যেকোনো মতামত আমাদের সাথে শেয়ার করতে পারেন নিচের মন্তব্য বক্সে বা ভেরিফাইড প্রেসের ফেসবুক পাতায়।]]
Leave a Reply